
গাজীপুর প্রতিনিধি ঃ
গাজীপুরে মহান বিজয় দিবস ২০২৪ই ৫৪ তম দিবস উদযাপনে বাদল শীল (২৫) নামে এক প্রতিবন্ধীকে ফুলেল শুভেচছা জানান জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর)২০২৪ইং বিকালে সদর উপজেলাধীন ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের রুদ্রপুরে ঐ প্রতিবন্ধী ছেলের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
এসময় ওসি আব্দুল হালিম প্রতিবন্ধী ছেলেটির সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় সহানুভূতিশীল হয়ে অপ্রাপ্তীর শূন্যস্থান খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে দীর্ঘ সময় আলাপকালে ঐ প্রতিবন্ধী ছেলেটিও আনন্দচিত্তে মনখুলে অপ্রকাশিত কষ্টের কথাগুলো বুঝার চেষ্টা করেন। ১৬ ডিসেম্বর বিশেষ দিন হওয়ায় তার পছন্দের বিভিন্ ধরনের খাবার খাইয়ে দেন ওসি আব্দুল হালিম।
ওসি আব্দুল হালিমের মহাণুভবতায় মুগ্ধ হয়ে প্রতিবন্ধীর গর্ভধারিণী মাতা স্বপ্না শীল আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন,আমার তিনটি সন্তান রয়েছে,এর মধ্যে দুটো সন্তানই প্রতিবন্ধী।
অভাবের সংসারে সৃষ্টিকর্তা যা দিয়েছেন তাতেই কষ্টে শিষ্টে দিন চলে যায়। এযাবৎকালে কোনো সরকারী সাহায্য সহযোগিতা পাইনি,পেয়েছি স্থানীয়দের।
তিনি আবেগাপ্লুত বলেন,বাদল শীল আমার বড় ছেলে। ওর বয়স এখন ২৫ বছর হয়েছে। ছোট ছেলেটাও প্রতিবন্ধী। পাঁচ জনের সংসার কোন রকমে খেয়ে না দিন পার করতে হয় আমাদের। সরকারি কোন সুযোগ সুবিধা আমাদের ভাগ্য জুটেনি আদৌ।
ওসির আগমনের বিষয়ে স্বপ্না বলেন, একজন থানার বড় কর্তা আমার প্রতিবন্ধী ছেলেটাকে দেখতে এলো,সাথে অনেক ফলাফল ও খাবার নিয়ে এসেছেন। পরিবারের আমরা সবাই অনেক খুশি। অনেক দিন পরে ভালো খাবার দেখে আমার ছেলেটা অনেক আনন্দ পেয়েছে আমিও মা হিসেবে অনেক হয়েছি।
ওসি আব্দুল হালিম বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির আনন্দের দিন। সারাদেশে আজ বিজয় দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। তাই বিজয় দিবসের আনন্দটাকে ভাগাভাগি করে নিতে আমি এই প্রতিবন্ধী ছেলেটাকে ফুলেল শুভেচছা জানাতে আসলাম। তার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎসহ ছেলেটার চিকিৎসার খোঁজ নিলাম। আমার এই আগমনই শেষ নয়। আমি নিয়মিত ছেলেটার খোঁজ কবর নিব এবং তার পরিবার চাইলে ছেলেটার চিকিৎসাসহ আনুষঙ্গিক দায় দায়িত্ব বাংলাদেশ পুলিশ এর পক্ষ থেকে নেয়া হবে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতায় এগিয়েে আসবো ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও বলেন,অত্র এলাকার বিত্তবানদের উচিত এই অসহায় পরিবারটির প্রতি এগিয়ে আসা।
ওসি আব্দুল হালিম আরও আশ্বাস দেন, বর্তমান সময়ে প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়। সরকারের নানামুখী উন্নয়নমূলক পদক্ষেপে তারা দেশের সম্পদ। এই পরিবারটি যাতে করে সরকারী সকল সুযোগ সুবিধার অংশীদার হতে পারে সে ব্যাপারে সকলেই সহযোগিতা কাম্য।