স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জের পুলিশ প্রশাসন ও সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীসহ জেলার সাধারণ মানুষ অপপ্রচার ও হয়রানীর শিকার হচ্ছে কুখ্যাত মামলাবাজ সুলতান মাহমুদ ও প্রতারক কামাল প্রধানের দ্বারা। অথচ এর নেই কোনো প্রতিকার! যদিও কয়েকবার গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছে সুলতান ও কামাল। জেলও খেটেছে বহুবার। তারপরও জামিনে এসে বেপরোয়া হয়ে চাঁদাবাজির জন্য বিভিন্ন জনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও নানাভাবে মানহানী করে হয়রানী করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. নাসির আহম্মদ, ফতুল্লা থানার শরিফুল ইসলাম, সোনারগাঁও থানার তদন্ত ওসি রাশেদুল ইসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি শাহিনুর আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদীসহ নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারী এবং বিভিন্ন দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই প্রতারক চক্রের হোতা চাঁদাবাজ সুলতান মাহমুদ ও কামাল প্রধানের দ্বারা নানাভাবে হয়রানীর শিকার হচ্ছে।
বিশেষ করে বিভিন্ন মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, কল্পকাহিনী তৈরি করে থানায় মামলা করার জন্য প্রশাসনকে চাপ দিতে থাকে। মিথ্যা মামলা না নিলে তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে এবং অনুমোদনহীন অনলাইন পোর্টালে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে মানহানী করছে। সাংবাদিকতার পরিচয় দিয়ে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও শিল্প কলকারখানার মালিকসহ সাধারণ মানুষ এই দুই চাঁদাবাজ বাহিনীর কাছে বিভিন্নভাবে হয়রানী হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দুই প্রতারক বিভিন্ন মামলার অভিযোগে ঘুরে ফিরে একই ধরণের লিখিত অভিযোগ লিখে থানায় মামলা করার জন্য চাপ দেয় এবং ফেইসবুকে প্রচার করে।
আরো জানা যায়, ভেজাইল্যা সুলতান মাহমুদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, সোনারগাঁও ও নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় চাঁদাবাজি ও নাশকতার মামলা চলমান রয়েছে। আর প্রতারক কামাল প্রধানের বিরুদ্ধে বন্দর, সোনারগাঁও, সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লা ও নারায়ণগঞ্জ সদর থানায়সহ নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রতারণা, জাল দলিল সৃজনকারী, চাঁদাবাজি ও নাশকতার মামলা রয়েছে।
এই দুই প্রতারক চাপাবাজ সাইকো দীর্ঘদিন যাবত নারায়ণগঞ্জ শহরটাকে বিভিশিকাময় করে রেখেছে। তাদের অত্যাচারে এবং মানহানীর কারণে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
পুলিশ প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থাও নিতে পারছে না এবং কেউ কোনো ঘটনা নিয়ে থানায় গেলে পুলিশ কামাল ও সুলতানের নাম শুনলে ভুক্তভোগীকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়।
এছাড়াও প্রত্যেকটি থানায় কামাল ও সুলতানের পক্ষে সাফাই গাওয়ার মতো দুই একজন দারোগা রয়েছে। যাদের বিভিন্ন অপরাধের কালেকশনের টাকা মাসোহারা হিসেবে দিয়ে থাকে। প্রতারক, চাঁদাবাজ, ধাপ্পাবাজ আসামী ও পুলিশ ভাই ভাই বলে বাদী পক্ষের রেহাই থাকে না।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে বিব্রত করার জন্য তাদের বিরুদ্ধেও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ফেক আইডি খুলে এবং নিজেদের পেজে। নারায়ণগঞ্জবাসী তাদের কবল থেকে মুক্তি চায় এবং সেনাবাহিনী ও র্যাবসহ জেলা পুলিশ প্রশাসন যাতে করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে সুলতান ও কামালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করেন এই প্রত্যাশায় নারায়ণগঞ্জের সচেতন মহল।