নির্মম এই ঘটনাটি শুনেই চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিম ও তার পরিবারকে থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দিতে অনুরোধ করলেও অজ্ঞাত কারণে এখনো পর্যন্ত তারা থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি বলে প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন চন্দ্রঘোনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহজাহান কামাল।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উক্ত এলাকাটি পাহাড়ের একটি প্রভাবশালী আঞ্চলিক দলের সশস্ত্রবাহিনীর দখলে থাকায় তাদের চাপে ভিকটিম পরিবারটি আইনের আশ্রয় নিতে পারছেনা বলে জানিয়েছে এলাকার স্থানীয় সূত্র। নিরাপত্তা বাহিনীর একজন উদ্বর্তন কর্মকর্তা বিষয়টি স্বীকার করে প্রতিবেদককে বলেন, ঘটনাটি প্রচার হলে প্রথমেই উক্ত এলাকায় একটি টিম ঘটনাস্থলে গেলেও সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ব্যাপক উপস্থিতিতে এবং তাদের প্রত্যক্ষ বাধার কারণে ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় আনতে পারেনি।
ভিকটিমের একমাত্র মা ও ভাই ছাড়া আর কেউই তার পাশে নেই এবং ভিকটিম একজন প্রতিবন্ধি নারী মন্তব্য করে একজন স্থানীয় বাসিন্দা প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা সকলেই আঞ্চলিকদলের রাজনীতির সাথে জড়িত তাই প্রভাবশালী আঞ্চলিক দলের প্রত্যক্ষ চাপে ভিকটিম অন্তসত্তা নারী ৫ মাসের পেটের সন্তানের পিতা কে এবং তাকে ধারাবাহিকভাবে ধর্ষণকারি তিন অভিযুক্তের বিচার দাবি করতে পারছে না।
স্থানীয় মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, এই ঘটনা পাহাড়ে ‘সামাজিক বিচার’-এর নামে নারীর প্রতি সহিংসতা ও বিচারবহির্ভূত প্রথার ভয়াবহ দৃষ্টান্ত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা এবং প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ ছাড়া এমন অনৈতিক বিচার সংস্কৃতি বন্ধ করা সম্ভব নয়।