নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা : জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত একশত ছিষট্টিটি প্রস্তাবের মধ্যে ১০৮ টি বিষয়ে একমত, ৩২টি বিষয়ে দ্বিমত এবং ২৬ টি বিষয়ে আংশিক একমত পোষণ করে আজ লিখিত মতামত প্রদান করেছে এবি পার্টি।
পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব.) দিদারুল আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক ও ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলি’র সমন্বয়ে একটি টীম আজ জাতীয় ঐক্যমত কমিশনে পার্টি’র পক্ষ থেকে এই লিখিত মতামত জমা দেন।
জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের পক্ষে মতামত গ্রহণ করেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. আলী রিয়াজ, নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. বদিউল আলম মজুমদার ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
উল্লখ্য বিগত ৬ মার্চ, ২০২৫ তারিখে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কর্তৃক সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো স্প্রেডশীট আকারে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়।
তারই প্রেক্ষিতে আজ ১৭ মার্চ ২০২৫ তারিখে জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের কার্যালয়ে কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক পূরণকৃত স্প্রেডশীটসমূহ জমা দেয় এবি পার্টি।
স্প্রেডশীটসমূহে সংস্কারের সময়কাল ও বাস্তবায়নের উপায় হিসেবে সর্বমোট ৬টি প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। ১ম প্রস্তাবনা হলো “নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে”।
উক্ত উপায়ে সংবিধান সংশোধণ বর্তমান সংবিধানের আলোকে অগ্রহণযোগ্য। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৩ (১)(খ) এর বিধান মোতাবেক রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ প্রণয়ন ক্ষমতার মাধ্যমে সংবিধানের কোন বিধান পরিবর্তন বা রহিত করা যায় না। তাই বর্তমান সংবিধান স্থগিত বা বাতিল না করে অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করা বর্তমান সংবিধান সাপেক্ষে বেআইনী। তবে, বর্তমান সংবিধান স্থগিত করে জুলাই রেভ্যোল্যুশনের স্পিরিটের (Doctrine of Necessity) আলোকে প্রস্তাবিত সাংবিধানিক বিধানসমূহ পরিবর্তন/পরিবর্ধন/পরিমার্জন করে নতুন সংবিধান পুণর্লিখন করা যেতে পারে। এবিষয়ে এ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে আপীল বিভাগের কাছে সরকার অধিকতর সাংবিধানিক ব্যাখ্যা চাইতে পারেন।
অন্যদিকে, অবশিষ্ট ৫টি প্রস্তাবনা সার্বিক বিবেচনায় দুরূহ ও সময়সাপেক্ষ বলে মনে করে এবি পার্টি। এহেন পরিস্থিতিতে এবি পার্টি স্প্রেডশীটসমূহে উল্লেখিত সংস্কারের সময়কাল ও বাস্তবায়নের উপায় হিসেবে আইনী সম্ভাব্য জটিলতা থাকা সত্ত্বেও ১ম প্রস্তাবনাকেই (নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে) বেছে নিয়েছে।
তাছাড়া, যেসব প্রস্তাবনায় সংবিধান সংশোধণের সম্ভাব্য উপাদান নেই, সেসব ক্ষেত্রে ১ম প্রস্তাবনাটিই (নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে) সবচেয়ে সহজসাধ্য বলে এবি পার্টির বিশ্বাস।