রোজার আগে টোকেন দিয়ে ৩০ টাকা করে চাঁদা নিত,এখন ৮০ টাকা নিলেও কোন টোকেন নাই কথাগুলো বলেন, সবজি ব্যবসায়ী সাদেক। টুকেন ছাড়া সিটি কর্পোরেশনের ইজারাদার টাকা তুলতে পারবে না, জিসিসির সম্পত্তি কর্মকতা।
গাজীপুর মহানগরীর ২২ নং ওয়ার্ড বাংলাবাজার সিটি কর্পোরেশন থেকে ইজারা নিলেও টোকেন ছাড়া টাকা তুলেন কতৃপক্ষ। কে বা কাহার টাকা তুলেন জানেন না,বিএনপির নেতা ও মার্কেট মালিক কতৃপক্ষ। ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন,ইজারা নিয়েছে সিটি কর্পোরেশন, ২০/৩০ টাকা দিয়েছি। এখন ৮০ টাকা করে দেওয়ায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত,সারাদিনে ৫০০ টাকা বিক্রি করে,৮০ টাকা ইজারাদার ও ময়লার জন্য ৩০ টাকা সর্বমোট ১১০ টাকা করে চাঁদা দিলে কিছুই থাকে না আমাদের।
টাকা না দিলে টোকেনের কথা বললে,মারধর করে,দোকান ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি দেয়।
কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী ফজলু বলেন,২ শ টাকা বিক্রি করার আগেই টাকা নেওয়ার জন্য চলে আসে,একটু দেরি হলেই বসতে দিবে না,মারবে হুমকি দেয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,বাংলাবাজার মোশাররফ টাওয়ারের নিচে জিসিসির ২২ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোশাররফ হোসেনের সাথে প্রায় শতাধিক ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা জড়ো হয়ে চাঁদাবাজি চলবে বলে শ্লোগান দিতে থাকে,এমন সময় তাদের শান্ত করে বক্তব্য রাখেন মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন,বন্ধন টাওয়ারের আশপাশের সিটি কর্পোরেশন ইজারা দিয়েছে,কিন্তু কিছু কতিপয় চাঁদাবাজরা আমার মার্কেটের সামনে এসে চাঁদাবাজি করে,চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে ব্যবসায়ীদের মারধর করে। তারা গরীব মানুষ, তাদের দিকে তাকিয়ে আমার মার্কেটের সামনে বসতে দিয়েছি,অথচ একটি মহল রাজনৈতিক নেতাদের নাম বিক্রি করে সাধারণ ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা চাঁদা নিচ্ছে। বিএনপির নাম বিক্রি করে ও রনি সাহেবের নাম বিক্রি করে চাঁদাবাজি করছে,রাজনৈতিক নেতাদের কোন দোষ নাই, প্রশাসনের কোন দোষ নাই,দোষ আমাদের, আমরা চাঁদাবাজকে পশ্রয় দেই। তিনি বলেন,আজ থেকে চাঁদাবাজদের পাকড়াও করা হবে।
তিনি বলেন,আমি প্রশাসন কে জানিয়েছি,তারা আমাকে আস্বস্ত করেছে, বিষয়টি দেখবে।
মোশাররফ হোসেন আরও বলেন,২২ নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতারা এখানে চাঁদা তুলে না,তারা চাঁদাবাজির সাথে জড়িত না। সালনা থেকে কয়েকজন লোক এসে রশিদ ছাড়াই সিটি কর্পোরেশনের নাম ব্যবহার করে টাকা নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন,আগামী কিছুদিনের মধ্যে একটি কমিটি করে দিবো,তারা ঐ চাদাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
তথ্য বলছে গড়ে প্রতিদিন দোকান বসে ৩শর অধিক,৮০ টাকা করে হলে দৈনিক ২৪ হাজার টাকা মাসে ৭ লক্ষ ২০ টাকা বছরে ৮৬ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা।
এভাবে রশিদ ছাড়া টাকা তুলে রাতারাতি ধনী হয়ে যাচ্ছে, একটি কুচক্রী মহল।
রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বলছে,চাঁদাবাজি ও দুর্নীতিতে আওয়ামী সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে দেশ। নতুন করে চাঁদাবাজি হলে মানুষ বলবে,আগের মতই চলছে দেশ পরিবর্তন হয় নি।